,

ভূতের অস্তিত্ব আছে কি? ধর্ম এবং বিজ্ঞান কী বলে

পরীক্ষাগারে বিস্তর সময় খরচ করে ভূতের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমাণের গুরুদায়িত্বটি পালনে আগ্রহ দেখাননি তেমন কেউ। এই তত্ত্ব নিয়ে মানুষ মাথা ঘামিয়েছে সভ্যতার আদিকাল থেকে। মৃত্যুর পরে আত্মার অস্তিত্ব বিদ্যমাণ থাকে কি থাকে না, তা নিয়ে দর্শনশাস্ত্র যতটা না ভেবেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভেবেছেন ভৌতিক গল্পের রচয়িতারা। আর এই সব কাহিনির শ্রোতা-পাঠকও তাদের অবিশ্বাসকে মুলতবি রেখে শুনে অথবা পড়ে গিয়েছে ভূতের গল্প যুগের পরে যুগ ধরে। কিন্তু গল্পের শেষে সেই প্রশ্নটাই উঠেছে ভূত কি সত্যিই আছে?যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্করা সর্বদাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভূতের অস্তিত্বে। তারা বার বার বলেছেন, ভূত যে রয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়? এর উত্তরে ভূতবাদীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন সে যে নেই, তার প্রমাণটাই বা কই? এহেন চাপান উতোরে কেটে গিয়েছে অনেক সময়। কিন্তু পরীক্ষাগারে বিস্তর সময় খরচ করে ভূতের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমাণের গুরুদায়িত্বটি পালনে আগ্রহ দেখাননি তেমন কেউ।

এই কাজেই এগিয়ে এসেছিলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স। এই ইংরেজ পরমাণু বিজ্ঞানী টেলিভিশনে বিজ্ঞান সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের সূত্রে আবার তুমুল জনপ্রিয়। সম্প্রতি কক্স জানিয়েছেন, ভূতের অস্তিত্ব নেই। যদি তা থাকত, তা হলে বিশ্বের সবথেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা ধরা পড়তই। কী এই সব থেকে বড় পরীক্ষা’? কক্স জানিয়েছেন, মানুষের মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায়, তা নিয়ে সভ্যতার উন্মেষের কাল থেকেই মানুষ সন্ধান চালিয়েছে। যদি তেমন কোনও ‘যাওয়ার জায়গা’ থাকত, তা হলে তা নিশ্চিতভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এ ধরা পড়ত।

লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার আসলে বিশ্বের বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক। চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই যন্ত্র মহাজগতের মৌলিক বস্তুসমূহকে বুঝতে যায়। এই বিশ্লেষণ থেকে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমাণ জগতের প্রতিটি এলিমেন্টকেই জানা বা বোঝা যায়। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনও এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সমর্থ। কক্সের মতে, ভূত যদি থাকত, তবে তারা এনার্জি দিয়েই গঠিত হত। কারণ, আত্মা যে কোনও পদার্থ দিয়ে গঠিত নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অথচ থার্মোডাইনামিকস-এর দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায়। একমাত্র যদি ভূতেরা এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল জেনে থাকে, তা হলে কিছু বলার নেই। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে, তা হলে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার তাদের খোঁজ পেতই।

সার্ন বা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-এর তরফে কক্স এক প্রকার ঘোষণাই করে দিয়েছেন ভূতের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু যদি ভৌতিক এনার্জি তাপকে প্রতিহত করতে সমর্থ হয়? সেখানে কী হবে, তা কিন্তু কক্স বলেননি।

প্রাচীন ইতিহাসে ভূত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি এমন এক শক্তি যা কারো মৃত্যুর পর ফিরে আসে। যেসব স্থান ও মানুষ সে ছেড়ে যায় বা তার সঙ্গে যা অনিষ্ট হয়েছে সে ফিরে এসে তার প্রতিশোধ নেয়। বিশেষ করে রাজপরিবারের কোন সদস্য অল্প বয়সে মরে গেলে তাকে নিয়ে এসব গল্প ছড়াতো। যীশুখ্রিস্টের মৃত্যুর পরের শতকে ভূত নিয়ে প্রথম গল্পের দেখা পেয়েছেন ইতিহাসবিদরা। এরপর গ্রিক লেখক লুসিয়ান প্লাইনি এবং প্লুটোও ভূত নিয়ে গল্প লিখেছেন।

বিজ্ঞানে ভূত নেই : ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে গবেষণা করেছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স। এই ইংরেজ পরমাণু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ভূতের কোনো অস্তিত্ব নেই। যদি তা থাকত, তা হলে বিশ্বের সবথেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা ধরা পড়ত।

কী এই সব থেকে বড় পরীক্ষা? কক্স জানিয়েছেন, মানুষের মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায়, তা নিয়ে সভ্যতার উন্মেষের কাল থেকেই মানুষ সন্ধান চালিয়েছে। যদি তেমন কোনো ‘যাওয়ার জায়গা’ থাকত, তা হলে তা নিশ্চিতভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ সার্ন এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এ ধরা পড়ত।

লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার আসলে বিশ্বের বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক। চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই যন্ত্র মহাজগতের মৌলিক বস্তুসমূহকে বুঝতে যায়। এই বিশ্লেষণ থেকে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান জগতের প্রতিটি জিনিসকে জানা বা বোঝা যায়। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনো এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সমর্থ। কক্সের মতে, ভূত যদি থাকত, তবে তারা এনার্জি দিয়েই গঠিত হত। কারণ, আত্মা যে কোনো পদার্থ দিয়ে গঠিত নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অথচ থার্মোডাইনামিকসের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায়। একমাত্র যদি ভূতেরা এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল জেনে থাকে, তা হলে কিছু বলার নেই। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে, তা হলে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার তাদের খোঁজ পেতই। সার্ন বা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-এর তরফে কক্স এক প্রকার ঘোষণাই করে দিয়েছেন ভূতের অস্তিত্ব নেই।

কিন্তু বিশ্বাসে ভূত আছে : ভূত মানে মৃতের আত্মা বা অপচ্ছায়া। ভূতে বিশ্বাস সেই প্রাচীনকাল থেকেই। অসংখ্য প্রাচীন লোককাহিনীতে ভূতের উল্লেখ আছে। পৃথিবীর অধিকাংশ জাতিই ভূতে বিশ্বাস করে। তাদের মতে প্রাণির শরীর থেকে আত্মা চলে গেলেই সে প্রাণহীন হয়ে পড়ে। কোনো কোনো আত্মা প্রাণির শরীর থেকে বের হওয়ার পরও ফিরে আসে। আর এই ফিরে আসা আত্মাই হচ্ছে ভূত। ভূতের শরীরী রূপ থাকে না। সে থাকে অস্পষ্ট। কিন্তু তার চালচলন স্বাভাবিক জীবিত শরীরের মতো। তাকে স্পষ্ট দেখা যায় না। কিন্তু উপলব্ধি করা যায়। ইংরেজিতে ‘ঘোস্ট’ শব্দটির প্রাচীন ইংরেজির ‘গাস্ট’ থেকে উদ্ধৃত। প্রাচ্যের অনেক ধর্মে ভূতের উল্লেখ আছে। যেমন হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদ-এ ভূতের কথা উল্লেখ আছে। হিব্রু তাওরাত ও বাইবেলেও ভূতের উল্লেখ আছে। বাংলা লোকসাহিত্যে ভূত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরাতন এবং নতুন উভয় বাংলা রূপকথায় প্রায়ই ভূতের ধারণা ব্যবহার করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও ভূতের উদাহরণ পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয়, ভূত হল সেই সব অশরীরি আত্মা যারা জীবিত অবস্থায় শান্তি খুঁজে পায়নি বা অপঘাতে মারা গেছে। বাংলা সংস্কৃতিতে অনেক ধরনের ভূতের বিশ্বাস রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পেত্নী হলো নারী ভূত, শাকচুন্নি হলো বিবাহিত মহিলাদের ভূত, চোরাচুন্নি দুষ্টু ভূত, মেছোভূত হচ্ছে মাছ খেকো ভূত। আরো রয়েছে দেও, নিশি, মামদো ভূত, গেছোভূত, ব্র্রহ্মদৈত্য, স্কন্ধকাটা ভূত। এর বাইরেও রয়েছে ডাইনী, যারা আত্মা নয় বরং জীবিত। এরা কালা জাদু করে।

জ্বীন জাতি: ইসলাম ধর্মের পবিত্র কোরআনে জ্বীন জাতির উল্লেখ রয়েছে। আরবি জ্বীন শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কোনো কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী বা অনেক দূরবর্তী। কুরআনে জ্বীন ও ইনসান (মানুষ) এই দুই জাতির অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে। কুরআন অনুসারে জ্বীন জাতি মানুষের মতই আল্লাহ সৃষ্ট অপর আরেকটি জাতি, যারা পৃথিবীতে মানব আগমনের পূর্ব থেকেই ছিল এবং এখনো তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে মানুষের চোখে তারা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। কিন্তু জ্বীনরা মানুষদের দেখতে পায়। তারা বিশেষ কিছু শক্তির অধিকারী।

ভূত-বিশ্বাসী: এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ইংল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ প্রেতাত্মায় বিশ্বাস করেন। আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কঠোরভাবে ভূত-বিশ্বাসী। তার মধ্যে আবার ২৩ শতাংশ মানুষ দাবি করেছেন, তারা রীতিমতো ভূত দেখেছেন অথবা ভৌতিক অস্তিত্ব অনুভব করেছেন। সে কারণে হলিউডের সিনেমা জগতে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘হরর ফিল্ম’। এমন বিশ্বাস যে দেশের মানুষের তাদের ভূতের সিনেমা দেখিয়ে টাকা কামানো দোষের কিছু নয়।

এখন প্রশ্ন হলো, ইংল্যান্ডে কেন এই ব্যাপক সংখ্যায় ভূত বিশ্বাস্ত সমাজ-মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, এ ধরনের গণবিশ্বাসের পেছনে দুই দেশে দুই প্রকার কারণ কাজ করেছে। ইংল্যান্ডের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া, বৃষ্টির আধিক্য ভৌতিক গল্প সংক্রমণের পক্ষে উপযুক্ত। তার ওপরে বিপুল সংখ্যক পুরনো প্রাসাদ, কবরখানা, মান্ধাতার আমলের গির্জা, তার ভল্ট, মাটির নিচের অলিগলি অবশ্যই এক ধরনের ছমছমে পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে ভূতে বিশ্বাস হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে ব্রিটিশ সাহিত্যিকদের অনবদ্য কলমের অবদান। বিদেহী আত্মা নিয়ে চর্চাও ব্রিটেন কম করেনি। প্ল্যানচেট, সিয়াস, গুপ্তচক্র বিভিন্ন কালে সেদেশে ফিরে ফিরে এসেছে।

হোয়াইট হাউসের ভূত: বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত ভবন ওয়াশিংটন ডিসির ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া এভিনিউর ‘হোয়াইট হাউস’ কেবল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাসভবনই নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক ভবনও বটে। এমন একটি ভবনে যদি ভূতপ্রেতরা আস্তানা গাঁড়ে তাহলে কেমন হয়? প্রেসিডেন্টের বাসভবনে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে ডজনখানেক ভূত! এমন বিশ্বাস কেবল ভৌতিক গল্পপ্রিয় সাধারণ আমেরিকানদেরই নয়, হোয়াইট হাউসের একাধিক সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করেছেন।

তাদের দাবি অনুসারে, হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের একটি কক্ষে প্রায়ই নাকি কাজে ব্যস্ত থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবিগেইল অ্যাডামসের ভূত। আবার মরার পরও বাগানে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মচারী ডলি ম্যাডিসন। শুধু তারাই নন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন, রুজভেল্ট, হ্যারিসন, রিগ্যান, অ্যান্ড্রু জ্যাকসনসহ আরও অনেকের প্রেতাত্মা নাকি এখনো দিব্যি ঘুরে বেড়ায় হোয়াইট হাউসে।

হ্যালোইন ডে: দরজায় ঠক্ ঠক্ শব্দ। কে এলো এতো রাতে? দরজা খুলতেই ভয়ে আত্মা উড়ে যাবার অবস্থা! লম্বা টুপি মাথায়, হাতে উড়ন্ত ঝাড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে নাক বাঁকানো হ্যালোইন ডাইনি! হ্যালোইন ডে-র কথা কে না জানে! প্রতিবছর অক্টোবরের ৩১ তারিখ মৃত আত্মাদের স্মরণে পালিত হয় এ দিবস। বিগত কয়েক বছরে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের অলিগলির প্রায় সবখানেই হ্যালোইন ডে পরিচিতি পেয়েছে। অক্টোবরের ৩১ তারিখ মৃতের দেবতা সামহাইন সব মৃত আত্মাদের পৃথিবীতে আহ্বান জানান। ওইদিন নাকি উড়ন্ত ঝাড়ুতে করে হ্যালোইন ডাইনি সারা পৃথিবী উড়ে বেড়ায়। কখনো সবুজ খরখরে দেহের ডাইনি বুড়ি কড়া নাড়ে কোন বাড়ির দরজায়। হ্যালোইনের দিনটি সম্পর্কে এটাই লোকজ বিশ্বাস।

এ উৎসবের শুরুটা হয়েছিল মধ্যযুগে। আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ডের উচ্চভূমি ও ফ্রান্সের উত্তর অংশ জুড়ে তখন কেল্টিক সভ্যতা বিস্তার। প্রাচীন কেল্টদের পালিত সামহাইন উৎসব থেকেই মূলত হ্যালোইনের সূত্রপাত। কেল্টদের বিশ্বাস ছিল, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগের রাতে জীবিত ও মৃতের দুনিয়ার মধ্যকার ফারাক কেটে যায়। সেসময় মৃত আত্মা ও ভূত-প্রেত পৃথিবীতে আসে। তাই ৩১ অক্টোবর রাতে মৃত স্বজনদের আত্মার সঙ্গে মিলনের কামনায় তারা সামহাইন উৎসব পালন করতো। পরে এ উৎসব খ্রিষ্টান ধর্মের ওপরেও প্রভাব ফেলে। বিশ্বব্যাপী পহেলা নভেম্বরকে ‘অল সেইন্টস ডে’ ঘোষণা করা হয় ও এর আগের সন্ধ্যা মানে ৩১ অক্টোবরকে ‘অল-হ্যালোস-ইভ’ বা হ্যালোইন হিসেবে পালিত হয়। ১৯২০ থেকে ১৯৫০ সালের ভেতর পুরো আমেরিকায় হ্যালোইন ডে’র আনুষ্ঠানিকতা বাড়তে থাকে। পরে দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিন অনেকে ভূতের সাজে নিজেকে সাজায়। অনেকের মতে, এসময় সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায় বিদেহী আত্মারাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *